October 25, 2024, 2:35 pm
দুর্নীতি রিপোর্ট ডেক্সঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সাম্প্রতিককালে রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন হাসপাতাল মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ মজুদ ও বিক্রয় করে আসছে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পরীক্ষণ সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এসকল প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব একটি বিশেষ দল গঠন করে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে র্যাব ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার আড়ালে প্রতারনা করে আসছে বলে জানা যায়। তারা সরকারি অনুমোদন ব্যতিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ণ মেডিসিন ব্যবহার করে আসছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১ উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৯ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ১২০০ ঘটিকা হতে ১৮১০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন আটপাড়া এলাকায় “ফাস্ট কেয়ার ডায়াগনস্টিক এবং কনসালটেশন সেন্টার” এবং দক্ষিণখান থানাধীন ফায়দাবাদ এলাকায় “কেয়ার প্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার” ও আজপুর কাঁচাবাজার এলাকায় “ফাতেমা মেমোরিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেডিক্যাল সার্ভিস” এ ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব নাদির শাহ এর নেতৃতে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাঃ দেওয়ান মোঃ মেহেদী হাসান এর সমন্বয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারা মোতাবেক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেডিকেল সেন্টার পরিচালনা, মেডিসিন এর ফ্রিজে মাছ-মাংস সংরক্ষণ, অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত, মেয়াদ উত্তীর্ণ মেডিসিন ব্যবহার করার অপরাধে *১) “ফাস্ট কেয়ার ডায়াগনস্টিক এবং কনসালটেশন সেন্টার” এর স্বত্বাধিকারী মোঃ মোশারফ হোসেন, পিতা- মৃত মকবুল হোসেন, জেলা-টাংগাইল’কে ১,০০,০০০/- টাকা, ২) “কেয়ার প্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার” এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পিতা- ইব্রাহিম সিকদার, জেলা-কক্সবাজার’কে ১,০০,০০০/- টাকা এবং ৩) “ফাতেমা মেমোরিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেডিক্যাল সার্ভিস” এর স্বত্বাধিকারী ২) মোছাঃ ফারজানা ইয়াসমিন, পিতা-হাবিবুর রহমান জেলা-বরিশাল’কে ১,০০,০০০/- টাকাসহ সর্বমোট ৩,০০,০০০/- টাকা* জরিমানা করা হয়।
জরিমানার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।